বস্ত্র বিশ্লেষণ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - উইভিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK

একটি নমুনা কাপড় থেকে ঠিক অনুরূপ একটি কাপড় তৈরি করার জন্য এর যাবতীয় গুণাগুণ পঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করে জেনে নেওয়াকে বস্ত্র বিশ্লেষণ বলে। এক কথায় বস্ত্র বিশ্লেষণ বলতে একটি নির্দিষ্ট কাপড়ের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি জেনে নেওয়াকে বুঝায় । কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপরাধমূলক কার্যকলাপের সংগে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি জেনে নেওয়ার জন্যও বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয় । 

বস্ত্র বিশ্লেষণ এর উদ্দেশ্য (Objects of cloth analysis ) 
o সরবরাহকৃত নমুনা কাপড় থেকে ঠিক অনুরূপ একটি কাপড় তৈরি করা। 
০ কাপড়ের যাবতীয় গুণাগুণ জেনে নেওয়া । 
০ কাপড়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ যেমন- টানা, পড়েন, সুতার কাউন্ট, ফাইবারের ধরন ইত্যাদি জেনে নেওয়া । 
০ অপরাধমূলক কার্যকলাপের সংগে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিও চিহ্নিত করার জন্য । 

বস্ত্র বিশ্লেষণ এর প্রয়োজনীয়তা ( Importance of cloth analysis ) 
একটি কাপড় থেকে হুবহু অন্য একটি কাপড় তৈরি করার জন্য পূর্ববর্তী কাপড়টি বিশ্লেষনের প্রয়োজন রয়েছে। পূর্ববর্তী কাপড় অর্থাৎ নমুনা কাপড়টি কিসের তৈরি অর্থাৎ কোন আঁশের তৈরি, কত কাউন্টের সুতা দ্বারা তৈরি, টানা ও পড়েন সুতা মোটা, চিকন অথবা প্লাই (Ply) কিনা, ডিজাইন কি রকম ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় জানার জন্য বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে। 
o হুবহু একটি কাপড়ের অনুরূপ কাপড় তৈরির জন্য বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে । 
০ কাপড়ের যাবতীয় বৈশিষ্ট্য জেনে নিয়ে তৈরিকৃত কাপড়ের গুণাগুণের সাথে মিলানোর জন্য বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজন । 
০ আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে কাপড়ের প্রকার জেনে নিয়ে সরকারি শর্তসমূহের সাথে মিলিয়ে শুল্ক আদায়ের জন্য বস্ত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে শনাক্তকরণের জন্য এর প্রয়োজন । 

বস্ত্র বিশ্লেষণ এর প্রয়োজনীয় বিষয়াবলি 
একটি কাপড় বিশ্লেষণের জন্য নমুনা হতে নিম্নলিখিত বিষয়াবলি জেনে নেওয়া প্রয়োজন । 
০ কাপড়ের কোন দিক উপর বা সদর অর্থাৎ ফেইস সাইড (Face side) 
০ কাপড়ের কোন বরাবর টানা ও কোন বরাবর পড়েন। 
o কাপড়ের ইঞ্চি প্রতি টানা ও পড়েন সংখ্যা নির্ণয় । 
o নমুনা কাপড়ের টানা ও পড়েন সুতার কাউন্ট নির্ণয় । 
০ কাপড়ের উইভ স্ট্রাকচার অথবা ডিজাইন নির্ণয় করা । 
০ ডিজাইন নির্ণয় করার পর রিপিটের আকার নির্ণয় । 
০ ডিজাইন রিপিটের আকার নির্ণয়ের পর ড্রাফটিং ও লিফটিং প্লান নির্ণয় করা ।
০ টানা ও পড়েন সুতার রকম অর্থাৎ টানা সুতা ও পড়েন সুতা কোন আঁশের তৈরি তা নির্ণয় করা। 
o টানা ও পড়েন সুতার আলাদা আলাদা পাকের (twist) সংখ্যা নির্ণয় করা। 
০ রিড কাউন্ট ও হিল্ড কাউন্ট বের করা। 
০ কাপড়ের নির্দিষ্ট ইউনিটের ওজন বের করা। 
০ সুতার কোন আলাদা প্যাটার্ন থাকলে তা বের করা । 
o টানা বা পড়েন সুতা ব্লেন্ডেড হলে তা কোন সুতা কতটুকু অর্থাৎ শতকরা কত তা নির্ণয় করা। 
০ টানা বা পড়েন আলাদা আলাদা কতটুকু সুতার প্রয়োজন তা নির্ণয় করা 
০ কাপড়টি তৈরি করতে কি ধরনের তাঁতের প্রয়োজন তা নির্ণয় করা। 
০ কাপড় ও সুতার বাণিজ্যিক নাম যদি থাকে তা নির্ণয় করা। 
০ কাপড়টি ফিনিসড অথবা আনফিনিসড তা বের করা । 
o রঙিন সুতার বেলায় কি রং-এর সুতা তা বের করা । 
০ যদি সম্ভব হয় তবে কাপড়ের বহর ও দৈর্ঘ্য বের করা।

কাপড়ের উপর ও নিচের দিক নির্ণয় (Determinaion of Face and back side of the cloth)- 
কাপড়ের উপরের দিক নির্ণয় করলেই অপর পার্শ্ব নিচের দিকটি অর্থাৎ ব্যাক সাইড হবে। কাপড়ের ফেইস সাইড নির্ণয়ের জন্য নিচের বিষয়গুলি বিবেচনায় আনতে হবে। যেমন-
১. ব্যাক সাইডের তুলনায় কাপড়ের ফেইস সাইড অর্থাৎ উপরের দিক চকচকে দেখায়। 
২. সাধারণত কাপড়ের যে দিক ভালো দেখায় সেই দিককে উপরের দিক হিসেবে বিবেচনা করতে হয়। 
৩. কাপড়ের উপরের পার্শ্ব খুবই মসৃণ । 
৪. কাপড়ের উপরের পার্শ্বে হেয়ারিনেস (Hairiness) কম। 
৫. কাপড়ের উপরের পার্শ্বে ডিজাইন পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠে। 
৬. সাধারণত গ্রে কাপড়ের জন্য ব্যাক সাইডের সুতাগুলি কিছুটা চ্যাপ্টা দেখায়। 
৭. টুইল কাপড়ের ক্ষেত্রে টুইল রেখার ভাসা ফেইস সাইডে স্পষ্ট দেখায়। 
৮. মূল ডিজাইনটি কাপড়ের উপরের পার্শ্বে ভেসে উঠে। 
৯. গ্রে কাপড়ের জন্য ফেইস সাইডে কাপড়ের আলগা সুতা বেশি থাকে । 

কাপড়ের টানা ও পড়েন নির্ণয় (Determinaion of Warp and Weft of the cloth) 
নিম্নলিখিত বিভিন্ন বিষয়গুলি বিবেচনা করে কাপড়ের টানা ও পড়েন নির্ণয় করা হয় । 
১. নমুনা কাপড়ে যদি পাড় (Selvedge) থাকে তবে পাড় বরাবর সুতাগুলি টানা সুতা । 
২. টানা ও পড়েন সুতার মধ্যে টানা সুতায় পাক (Twist) বেশি থাকে । 
৩. কাপড়ের টানা ও পড়েন সুতার মধ্যে টানা সুতায় ক্রিম কম থাকে। 
৪. পড়েন সুতায় Z- টুইস্ট দেওয়া হয়। কাজেই Z- টুইস্টযুক্ত সুতার দিকই পড়েন।
৫. সাধারণত টানা দিকে ইঞ্চি প্রতি সুতার সংখ্যা বেশি থাকে। কাজেই কাপড়ে ইঞ্চি প্রতি বেশি সংখ্যার দিকই টানার দিক। 
৬. টানা সুতার শক্তি বেশি থাকে । কাজেই তুলনামূলক বেশি শক্তিযুক্ত সুতার দিকই টানা সুতার দিক 
৭. তুলনামূলক টানা দিকে চিকন সুতা ব্যবহার হয়। 
৮. সাধারণত বয়নের পূর্বে টানা সুতায় মাড় প্রদান করা হয়ে থাকে। কাজেই মাড়যুক্ত সুতার দিকই টানা সুতা । 
৯. টানা সুতায় হেয়ারিনেস (Hairiness) বেশি থাকে । 
১০. যদি কাপড়ের এক দিকে প্লাই (Ply) সুতা ও অন্য দিকে সিঙ্গেল সুতা পাওয়া যায় তবে প্লাই সুতার দিক টানা সুতা। 
১১. স্ট্রাইপ কাপড়ের ক্ষেত্রে সাধারণত স্ট্রাইপের দিক টানার দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় । 
১২. টেরি টাওয়েল ও কাপেটের ক্ষেত্রে পাইলের দিক টানার দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 
১৩. চেক কাপড়ের ক্ষেত্রে পড়েনের দিকে জোড় সংখ্যক সুতা থাকে। তবে টানার দিকে জোড় অথবা বিজোড় উভয়ই থাকতে পারে। 
১৪. যদি কাপড়ে বিভিন্ন কাউন্টের সংমিশ্রণ থাকে তবে টানার দিকে বিভিন্ন কাউন্টের সুতার ব্যবহার হয় । 
১৫. ইউনিয়ন কাপড়ের ক্ষেত্রে একদিকে কটন সুতা ও অন্যদিকে অন্য কাউন্টের সুতার ব্যবহার করা হয়। কটন সুতার দিকই টানা সুতা। 
১৬. চেক কাপড়ে সাধারণত টানা দিকই বেশি রং-এর সুতা ব্যবহার করা হয় । 
১৭. শানার দাগ (Reed mark) টানার দিকে থাকে । 
১৮. উপরোক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও অভিজ্ঞ মাস্টারগণ তাঁদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দ্বারা টানা ও পড়েন সুতার দিক সহজেই নির্বাচন করতে পারেন । 

ইঞ্চি প্রতি টানা ও পড়েনের সংখ্যা নির্ণয়- 
(Determinaion of Ends and Picks per inch) 
টানা ও পড়েনের দিক শনাক্তকরণের পর কাপড়টি টেবিলের উপর সমানভাবে রেখে এর উপর কাউন্টিং গ্লাস রেখে নিডেলের সাহায্যে একটি একটি করে টানা ও পড়েন সূতা গুণে ইঞ্চি প্রতি টানা ও পড়েন সুতার সংখ্যা স্থির করা হয়। 

কাউন্টিং গ্লাস (Couning Glass) হলো তিনটি বর্গাকার অংশ বিশেষ যা ভাঁজ করে রাখা যায়। বর্গাকার অংশের এক পার্শ্বে একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস থাকে, যা দ্বারা সহজেই প্রত্যেকটি সুতা বড় ও স্পষ্ট দেখা যায় এবং বিপরীত পার্শ্বে অন্য বর্গাকার অংশে ১ × ১ দাগ কাটা আছে যার সাহায্যে সহজেই ১ তে কতটি টানা সুতা ও কতটি পড়েন সুতা আছে তা নিডেলের সাহায্যে গুণে বের করা সম্ভব। কাউন্টিং গ্লাসের মাধ্যমে খুব সহজেই ইঞ্চি প্রতি টানা ও পড়েন সুতা সনাক্ত করা যায় । 

কাপড়ের ডিজাইন ও রিপিট নির্ণয় (Determinaion of Design and Repeat from the fabric)- 
প্রথমে উপরোক্ত পদ্ধতিতে টানা ও পড়েন সনাক্ত করতে হবে। পরে টানা ও পড়েনের দিক সনাক্ত করলে সহজেই টানা ও পড়েন সুতা সনাক্ত করা যাবে। ডিজাইন করতে হলে টানা ও পড়েন সুতা সনাক্ত করা খুবই জরুরি। কাপড়ের ডিজাইন ও রিপিট নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত ইকুইপমেন্টস (Equipments) এর প্রয়োজন । 
o ছক কাগজ বা গ্রাফ পেপার ।
০ কাউন্টিং গ্লাস (Counting glass ) 
০ পেনসিল Pencils) 
০ নিয়ন্ত্রণ (Needle ) 

প্রথমে ছক কাগজে ডিজাইন করার জন্য কাগজের নিচে ও বাম দিকের একটি ঘর দ্বারা শুরু করতে হবে। অতপর নমুনা কাপড়কে কাঁচি দ্বারা সুন্দরভাবে কেটে টেবিলের উপর এমনভাবে বিছিয়ে রাখতে হবে যেন কোথাও কুঁচকে না থাকে । অতপর কাপড়টির উপর কাউন্টিং গ্লাসটি রাখতে হবে। পূর্ব থেকে কাপড়টির টানা ও পড়েন সনাক্ত করা থাকে। টানা ও পড়েন থেকে আস্তে আস্তে সুতা খুলেও ছক কাগজে ডিজাইন অংকন করা যায় । আবার কাউন্টিং গ্লাস বসিয়ে নিভিল দ্বারা একটি একটি করে সুতা সনাক্ত করে পেনসিলের মাধ্যমে ছক কাগজের বাম পার্শ্বের নিচ থেকে ডিজাইনটি আস্তে আস্তে অংকন করতে হবে। কাউন্টিং গ্লাসের মাধ্যমে কাপড়টির উপর তাকালে টানা ও পড়েন সুতাগুলো মোটা দেখায় ও কোন সুতার সাথে কোন সুতার বন্ধনী সৃষ্টি হলো তা সহজে সনাক্ত করা যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে কাপড়টির সদর দিক (Face side) যেন উপরে থাকে। আস্তে আস্তে টানা ও পড়েন সুতার বন্ধনী ছক কাগজে অংকন করতে করতে ডিজাইনটি একটি আকারে চলে আসবে। অর্থাৎ ডিজাইনটি ছক কাগজে ফুটে উঠবে । তখন উপরোক্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে রিপিট সাইজ চিহ্নিত করতে হবে।

রিপিট সাইজ চিহ্নিত করার জন্য প্রথমে ডিজাইনটির সেট মিলাতে হবে। ডিজাইনটির মধ্যে টানা ও পড়েন সুতার সেট সনাক্ত করে প্রথমে আনুমানিক রিপিট চিহ্নিত করতে হবে। অতপর উক্ত রিপিট থেকে টানা ও পড়েন সুতার সেট নিয়ে উপরে বা ডান পার্শ্বের টানা ও পড়েন সুতার সেটের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। যদি উপরের ও ডানের উভয় সেটের সাথে রিপিটটা মিলে যায় তবে উক্ত রিপিট সাইজটি ডিজাইনের প্রকৃত রিপিট হবে ।

ছক কাগজে এই অংকিত ডিজাইনকে উইভ প্লান বলা হয়। রিপিট চিহ্ন দ্বারা ডিজাইনের রিপিটকে দেখানো হবে। এখন অংকনের নিয়মানুযায়ী রিপিট থেকে ড্রাফটিং প্লান ও লিফটিং প্লান অংকন করতে হবে যেন সহজেই উক্ত ডিজাইন থেকে কাপড়টি প্রস্তুত করা সম্ভব হয় ।

কাপড় হতে টানা ও পড়েন সুতার কাউন্ট নির্ণয় (Determinaion and Calculaion of the count of Warp & weft yarn) 
নমুনা টুকরা কাপড় হতে সুতার কাউন্ট নির্ণয়ের জন্য সাধারণত যে ইকুইপমেন্টস এর সাহায্য নেওয়া হয় তা বিজলিস ইয়ার্ন ব্যালেন্স (Beesleys yarn balance) ও টেমপ্লেট (Template)। পূর্ব বর্ণিত নিয়মে প্রথমে কাপড়ের টানা ও পড়েনের দিক নির্ণয় ও টানা ও পড়েন সনাক্ত করার পর টুকরা নমুনা কাপড় হতে একটি একটি করে টানা সুতা ও পড়েন সুতা আলাদা আলাদা করে রাখা হয়। সুতাগুলো সাবধানে খোলা হয় যাতে সুতার উপর কোন টান না পড়ে। সামান্য টানে সুতার দৈর্ঘ্য বেড়ে যেতে পারে তাতে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। নিম্নে নমুনা কাপড় হতে সুতার ছোট ছোট টুকরা সংগ্রহ করে সুতার কাউন্ট নির্ণয় করা হয়। সুতার কাউন্ট পদ্ধতিটির বর্ণনা করা হলো।

টেমপ্লেট (Template) 
যখন নমুনা কাপড় থেকে সুতার ছোট ছোট টুকরা সংগ্রহ করে কাউন্ট বের করার প্রয়োজন হয় তখন টেমপ্লেটের প্রয়োজন হয় । কাপড়ের টুকরা থেকে সুতাকে নির্দিষ্ট মাপে কাটার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে টেমপ্লেট বলে। টেমপ্লেট একটি ধাতুর তৈরি পাত বিশেষ যার ৩টি বাহু ও আটটি প্রাপ্ত রয়েছে এবং কোন পার্শ্বে কোন ধরনের ফাইবারের তৈরি সুতা কাটতে হবে তা পাতের পৃষ্ঠে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ঐ মাপে সুতা কেটে বিজলিস ইয়ার্ণ ব্যালেন্স এর মাধ্যমে সুতার কাউন্ট সরাসরি বের করা যায় ।

বিজলিস ইয়ার্ন ব্যালেন্স (Beesleys yarn balance) 
একটি কাষ্ঠ ও ধাতু নির্মিত স্ট্যান্ডের উপর এক পাশে দা আকৃতির একটি স্কেল খাড়াভাবে এবং অন্য পাশে একটি দণ্ড বসানো থাকে । দণ্ডের উপরের অংশে একটি বিম আড়াআড়িভাবে বসানো থাকে যার এক মাথায় সুতা ঝুলানোর হুক এবং অন্য মাথায় নির্দেশক থাকে। বিমটি দণ্ডটির মাথায় এমনভাবে বসানো থাকে যেন তা এদিক ওদিক দুলতে পারে।

পরীক্ষার শুরুতে নির্দেশকটি স্কেলের গায়ে ডেটাম লাইনের সাথে লেভেল করা হয়। যে সুতার কাউন্ট নির্ণয় করতে হবে সে ধরনের সুতার একটি আদর্শ ওজন বিমের মাঝামাঝি খাঁজে বসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে নির্দেশকটি ডেটাম লাইনের নিচে পড়ে যায়। টানা ও পড়েন সুতা যা আলাদাভাবে রাখা আছে তা টেমপ্লেটের চিহ্নিত দিক দ্বারা টানা সুতা টুকরা টুকরা করে কেটে বিমের হুকে একটা একটা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় যতক্ষণ না নির্দেশকটি ডেটাম লাইনে চলে আসে । এখন সুতাগুলি গুণে যতগুলি সুতা হলো সুতার কাউন্ট তত । অনুরূপভাবে পড়েন সুতারও কাউন্ট বের করা হয়।

Content added By

প্রশ্নমালা

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 
১. কাপড় বিশ্লেষণ বলতে কী বুঝায় ? 
২. কাপড়ের ডিজাইন ও রিপিট নির্ণয়ের জন্য কি কি ইকুইপমেন্ট প্রয়োজন ? 
৩. টেমপেট কী ? 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 
১. বস্ত্র বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য লেখ । 
২. বস্ত্র বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা কি লেখ ? 

রচনামূলক প্রশ্ন 
১. বস্ত্র বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াবলির বিবরণ দাও । 
২. কাপড়ের উপর ও নিচের দিক কিভাবে নির্ণয় করবে ব্যাখ্যা কর । 
৩. কাপড়ের টানা ও পড়েন কিভাবে সনাক্ত করবে বিস্তারিত লেখ ।
৪. নমুনা কাপড় হতে টানা ও পড়েন সুতার কাউন্ট নির্ণয় পদ্ধতি বর্ণনা কর ।

Content added By
Promotion